ভারতের ঘরে ঘরে যে বিপুল স্বর্ণালঙ্কার রক্ষিত আছে, অচিরেই তা ব্যাঙ্কে রেখে সুদ উপার্জন করার জন্য একটি প্রকল্প চালু হতে যাচ্ছে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এই প্রকল্পের অধীনে ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা তাদের বাড়িতে পড়ে থাকা অলস স্বর্ণ ব্যাঙ্কে জমা রাখতে পারবেন – এবং তার বিনিময়ে সেই আমানতের ওপর সুদ পাবেন।
তবে জমা রাখা স্বর্ণের ন্যূনতম পরিমাণ হতে হবে অন্তত ৩০ গ্রাম, যার ফাইননেস হতে হবে ৯৯৫। এই স্বর্ণ মুদ্রা, অলঙ্কার, গোল্ডবার বা গোল্ড বিস্কুট – যে কোনও আকারেই হতে পারে।
এই প্রকল্পের অধীনে কেউ ইচ্ছেমতো পরিমাণ স্বর্ণ ব্যাঙ্কে জমা রাখতে পারেন – এর কোনও ঊর্ধ্বসীমা থাকছে না।
অনুমান করা হয় ভারতের কোটি কোটি পরিবার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে বিশ হাজার টনেরও বেশি স্বর্ণ মজুত আছে।
কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের প্রায় পুরোটাই অলস পড়ে আছে, কোনও কাজে লাগছে না – অথচ বিপুল চাহিদার কারণে ভারতকে প্রতি বছরই শত শত কোটি ডলার মূল্যের স্বর্ণ আমদানি করতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদি আজ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ‘স্বর্ণকে একটা মৃত সম্পদ থেকে প্রাণবন্ত শক্তিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব। আমরা ঠিক সেটাই করতে চাইছি, আর সে কাজে আপনাদের সমর্থন চাইছি।’
এই প্রকল্পে গ্রাহকরা নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য স্বর্ণ ব্যাঙ্কে জমা রাখতে পারবেন। মেয়াদের শেষে স্বর্ণের তখনকার বাজারদর অনুযায়ী আসল ও সুদের পরিমাণ স্থির করা হবে।
আমানতকারী চাইলে তার আসল ও সুদ স্বর্ণের আকারে ফেরত পাবেন, অথবা সমপরিমাণ অর্থও তিনি নিতে পারবেন।
গত মাসেই ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে, এখন দীপাবলী উৎসবের আগে প্রকল্পটি চালু হলে তাতে কেমন সাড়া মেলে সে দিকে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা সাগ্রহে তাকিয়ে আছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন