রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৫

‘বিদেশি নাগরিক হত্যা বাংলাদেশের নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা’

    japanese killed                  রংপুরে হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।                  

বাংলাদেশে এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে আততায়ীর গুলিতে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের পরপরই অপরাধীদের ধরতে না পারাটা বেশ উদ্বেগের বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
এটি করাটা এখন বাংলাদেশের জন্য খুব দরকারি বলে মনে করছেন, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড. আব্দুর রব খান।
তিনি বলছেন এতে করে বিদেশি নাগরিকদের আশ্বস্ত করা যেত।
তিনি বলছেন এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
মি খান বলছেন, বাংলাদেশকে এখন খুব সাবধানে এগুতে হবে।
যাতে করে কোন ভীতি ছড়িয়ে না পরে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
তার মতে পর পর দুটি হত্যার ধরন ও ইসলামিক স্টেটের মতো সংগঠনের এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করাটা বিশেষ করে আরো বেশি উদ্বেগের।
এটি বাংলাদেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে তিনি বলছেন।
বাংলাদেশ ধীরে ধীরে আইএসের জালে জড়িয়ে পড়ছে কিনা সেনিয়ে একটা আশংকা তৈরি হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইসলামিক ষ্টেটের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্টের বরাত দিয়ে বলছে আইএস হোশি কুনিও নামের জাপানি নাগরিককে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
কয়েকদিন আগে রাজধানী ঢাকায় ইতালির নাগরিক চেজারে তাভেল্লাকে হত্যার পরও আইএস এর নামে একি ধরনের দায় স্বীকারের বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছিলো।
নিহত ইতালীয় নাগরিক ছিলেন আন্তর্জাতিক একটি উন্নয়ন সংস্থার কর্মী। আর অন্যজন জাপানী নাগরিক কৃষি উন্নয়ন কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশে অনেক বিদেশী নাগরিক বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করছেন।
তাদের মধ্যে এক ধরনের আশংকা তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা এ্যাকশন এইড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলছেন এই দুটি হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশে যেসব উন্নয়ন সংস্থা রয়েছে তারা তাদের কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন।
কর্মীরা নিজেরাও সাবধান হয়ে চলাফেরা করছেন।
ফারাহ কবির বলছেন উন্নয়ন কর্মীরা তাদের কাজ চালিয়ে যাবে।
তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে সরকারকেই এবং যত শীঘ্রই সম্ভব হত্যাকারীদের আইনের আশ্রয়ে নিয়ে আসতে হবে।
রংপুরে জাপানি নাগরিককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাঁচজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসিকে বলেছেন, দুটি হত্যাকাণ্ড একই উদ্দেশ্যে হয়ে থাকতে পারে বলে তারা আশংকা করছেন।
এর আগে বিদেশী নাগরিকদের ওপর হামলার আশংকায় বেশ কয়েকটি দূতাবাস থেকে সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন