সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৫

সন্দেহভাজন পাচারকারীরা র‍্যাবের হাতে আটক

    rab_traffickers_detained                                সন্দেহভাজন পাচারকারীরা র‍্যাবের হাতে আটক                

বাংলাদেশের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী র‍্যাব ঢাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য সন্দেহে মোট আটজনকে আটক করেছে ।
কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই ব্যক্তিদের আটক করা হয়। তবে র‍্যাবের এই অভিযোগের প্রশ্নে আটক ব্যক্তিদের কোন বক্তব্য জানা যায়নি।
র‍্যাব বলছে, আটককৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন দেশের জাল ভিসা ও জাল ভিসা স্ট্যাম্প দেওয়ার নানা উপকরণ ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
র‍্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিরা যে আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য তার প্রচুর সাক্ষ্যপ্রমাণ তারা পেয়েছেন।
র‍্যাবের দাবি, গোপন সূত্রে তারা খবর পেয়েছিল রাজধানীর মতিঝিল থানা এলাকার কমলাপুরে মানব পাচারকারী চক্রের দুজন সদস্য একটি হোটেলে আশ্রয় নিয়েছে।
এরপর রোববার সন্ধ্যায় ইনসাফ হোটেল নামে ওই হোটেলটিতে হানা দিয়ে তারা মোহাম্মদ মতিন মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম বাবু নামে দুজনকে আটক করে।
তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন দেশের মোট ৫১টি জাল ভিসা উদ্ধার করা হয় বলেও র‍্যাব সূত্রে জানানো হয়েছে।
ধৃত দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই চক্রের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহভাজন আরও ছজনকে আটক করা হয়।
এদের মধ্যে একজন মোহাম্মদ নূর ইসলামের কাছ থেকে পাওয়া যায় লিবিয়ার ৩০টি জাল ভিসা।
আবুল হোসেন নামে ধৃত আর এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া গেছে মোট ৫৯৫জনের পাসপোর্ট।
র‍্যাব বলছে, ধৃত ব্যক্তিরা জেরার মুখে স্বীকার করেছে তারা বহুদিন ধরেই তারা জাল ভিসার স্ট্যাম্প মেরে বাংলাদেশী নাগরিকদের অবৈধভাবে বিদেশে পাঠিয়ে আসছে।
এই চক্রটি বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় দালালদের পাঠিয়ে বিশেষ করে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষদের তাদের নিশানা করত।
বিদেশে উন্নত জীবনের লোভ দেখিয়ে তারপর মোটা টাকার বিনিময়ে তাদের বেআইনিভাবে মালয়েশিয়া, লিবিয়া বা থাইল্যান্ড-সহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর চেষ্টা করা হত।

bbc bangla

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন