উত্তর পূর্ব আফগানিস্তানে এক শক্তিশালী ভুমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দেড়শ' ছাড়িয়ে গেছে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত এবং তাজিকিস্তানে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়।
পাকিস্তানের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের উপজাতি অধ্যুশিত এলাকাগুলোর এ ভুমিকম্পে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে দেখা যাচ্ছে। পাকিস্তানে কমপক্ষে ৫১ জন এবং আফগানিস্তানে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।উত্তর আফগানিস্তানের তাখান প্রদেশের রাজধানী তালুকানে ভুমিকম্পের সময় একটি মেয়েদের স্কুলের আতংকিত ছাত্রীদের হুড়োহুড়িতে অন্তত ১২ জন ছাত্রী নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়।
আহতদের অনেকের অবস্থা সংকটজনক।
কুনার প্রদেশেও হাসপাতাল সূত্র সাতজন নিহত হবার কথা জানিয়েছে। এ ছাড়া জালালাবাদে ৫ জন এবং উত্তর বাদাথশানে একজন মহিলা নিহত হবার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্বিক জরিপ দফতরের খবরে বলা হয় রিখটার স্কেলে সাত মাত্রারও বেশি শক্তিশালী ছিল এ ভূকম্পন।
তিনটি দেশেরই রাজধানীতে এই ভুমিকম্প অনুভূত হয়। এতে কাবুল, ইসলামাবাদ ও দিল্লির ভবনগুলো প্রায় মিনিটখানেক ধরে দুলতে থাকে।
রাওয়ালপিন্ডি ও পেশাওয়ার শহরের বেশ কিছু ভবন সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। পাকিস্তানের লাহোরে ভূকম্পনের সময় ফোন লাইন বিকল হয়ে পড়ে বলে বিবিসির একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন।
দিল্লিতে আতংকিত শত শত লোক এ সময় ছুটে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। দিল্লির পাতাল রেল কিছুসময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বাসিন্দারা বলেছেন, এত শক্তিশালী ভুমিকম্প তারা এর আগে অনুভব করেননি।
আফগানিস্তানে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, হাসপাতালগুলোকে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি রাখা হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, উত্তর পূর্ব আফগানিস্তানের পার্বত্য শহর ফৈজাবাদের ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এই ভুমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দুটি ছিল। bbc
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন