বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সিরিয়ায় বিমান ঘাঁটি তৈরি করছে রাশিয়া?

 সিরিয়ার লাতাকিয়া বিমান ঘাঁটিতে রুশ কার্গো বিমান

সিরিয়ার লাতাকিয়া শহরের কাছে রাশিয়ার সামরিক তৎপরতা বেড়ে যাওয়া নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে তীব্র সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
পশ্চিমাদের বক্তব্য সিরিয়ার উপকূলীয় এই এলাকায় সম্প্রতি রুশ সমরাস্ত্র এবং লোকজনের গতিবিধি বেড়ে গেছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন খোলাখুলি বলছে রাশিয়া লাতাকিয়ায় একটি বিমান ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জেফ ডেভিস বলেছেন, "আমাদের কাছে খবর আছে রাশিয়া লাতাকিয়া এবং আশপাশে বহু সমরাস্ত্র, রসদ এবং মানুষজন মোতায়েন করেছে। মনে হচ্ছে সেখানে তারা বিমান হামলা পরিচালনার জন্য একটি ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।"
সিরিয়ার ভেতর ক্রমবর্ধমান রুশ সামরিক গতিবিধির খবর এমন সময় আসছে যখন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
সিরিয়ায় ভেতরে সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব নিয়েও ভেতরে ভেতরে আলোচনা চলছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জেফ ডেভিস খোলাখুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রুশ সামরিক তৎপরতার কারণে পশ্চিমাদের সাথে সেখানে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে।
লাতাকিয়া উপকূলে রুশ যুদ্ধ জাহাজ।
নিউইয়র্ক থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বারবারা প্লেট বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভয় পাচ্ছে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইতে কোণঠাসা প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের সাহায্যে রাশিয়া হয়তো এখন হয়তো সরাসরি মাঠে নামছে।
সম্প্রতি সিরিয়ার সরকার বিদ্রোহীদের কাছে নতুন করে বেশ কিছু অঞ্চল হারিয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণও সরকারি সৈন্যরা হারিয়েছে।
এর পরই মালবাহী দুটো রুশ বিমান লাতাকিয়ায় এসে নামায় যুক্তরাষ্ট্রের ভেতর সন্দেহ তৈরি হয়।
তবে রাশিয়া এবং সিরিয়ার সরকার বলছে, শরণার্থীদের জন্য তাঁবু এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী আনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এই ব্যাখ্যা বিশ্বাস করছে না এবং এ ব্যাপারে তাদের মিত্রদের সতর্ক করছে।
সম্প্রতি বুলগেরিয়ার সরকার রুশ সামরিক বিমানকে তাদের আকাশপথ ব্যবহার করতে দিকে অস্বীকার করেছে ।
গত সপ্তাহে মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে রয়টরস সংবাদ সংস্থা জানায়, রাশিয়া সিরিয়ার উপকূলীয় শহর টারটুসে তাদের নৌ ঘাঁটিতে দুটো ট্যাংক বহনকারী জাহাজ নিয়ে গেছে। একদল রুশ নৌ সেনাকেও মোতায়েন করা হয়েছে।
রাশিয়া সিরিয়ার বর্তমান সরকারের সমর্থক। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বাসার আসাদ সরকারের পতন চাইছে।
bbc

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন