সোমবার, ১ মে, ২০১৭

পয়েন্ট কমেও সরাসরি বিশ্বকাপের স্বপ্ন উজ্জ্বল বাংলাদেশের

আইসিসির সংশোধিত ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিং আজ প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে দলগুলোর পারফরম্যান্সে ওপর ভিত্তি করে সাজানো এই র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। সাতেই আছে বাংলাদেশ। তবে ২০১৪ সালের মাঝপথের একের পর এক সিরিজ হারের প্রভাবটাও পড়েছে রেটিং পয়েন্টে। গত সপ্তাহেও বাংলাদেশের রেটিং ছিল ৯২ পয়েন্ট, সেটা আজ ১ পয়েন্ট কমেছে।
পুনর্বিন্যস্ত র‌্যাঙ্কিং তবু বাংলাদেশের আশা বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ, প
য়েন্টের এমন ওলট-পালটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিচের দিকে থাকা সব দল। আটে থাকা পাকিস্তানের (৮৮) পয়েন্টও ২ কমছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, নয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ পয়েন্ট হারিয়েছে। ক্যারিবীয়দের পয়েন্ট এখন ৭৯। বাংলাদেশ তাদের চেয়ে এগিয়ে আছে ১২ পয়েন্টে। এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যবধান কমিয়ে আনার সম্ভাবনা তেমন নেই বললেই চলে।
এ কারণে আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ কিংবা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অবিশ্বাস্য কোনো ভরাডুবি না হলে ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ প্রায় নিশ্চিত বাংলাদেশের। কারণ, ৩০ সেপ্টেম্বরের কাট অফ সময়ের আগে প্রথম আট দলই যে সে সুযোগটা পাবে।
সে তুলনায় আরেকটি অর্জনেরও একটা সুযোগ আছে বাংলাদেশের। ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে দুই ম্যাচে হারালে এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচ জিতলেই র‌্যাঙ্কিংয়ে ছয়ে উঠে আসবে বাংলাদেশ। কারণ, সংশোধিত র‍্যাঙ্কিংয়ে ছয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে ৫ রেটিং পয়েন্ট। লঙ্কানরা এখন ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের হাতের নাগালে।
প্রতি বছর এই সময়ে র‍্যাঙ্কিং সংশোধন করে আইসিসি। তাতে আগের তিন বছরের খেলার পয়েন্টগুলোই শুধু যুক্ত হয়, এর আগের পয়েন্টগুলো বাদ দেওয়া হয়। গত এক বছরের (২০১৬-এর মে থেকে) ম্যাচগুলোর অর্জিত পয়েন্টের শতভাগ নেওয়া হয়। এর আগের দুই বছরের (২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের এপ্রিল) ম্যাচগুলোর পয়েন্ট নেওয়া হয় অর্ধেক। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ অবিস্মরণীয় সাফল্য পেয়েছিল ওয়ানডেতে। সেই সময়ের পাওয়া পয়েন্ট অর্ধেক যোগ হয়েছে, আগের রেটিংয়ে যোগ হয়েছিল শতভাগ। এ কারণে রেটিং পয়েন্ট কমেছে বাংলাদেশের। আইসিসি।
সংশোধিত ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিং
দল বর্তমান পয়েন্ট (আগের)
দক্ষিণ আফ্রিকা ১২৩ (১১৯)
অস্ট্রেলিয়া ১১৮ (১১৮)
ভারত ১১৭ (১১২)
নিউজিল্যান্ড ১১৫ (১১২)
ইংল্যান্ড ১০৯ (১০৮)
শ্রীলঙ্কা ৯৩ (৯৮)
বাংলাদেশ ৯১ (৯২)
পাকিস্তান ৮৮ (৯০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৯ (৮৩)
আফগানিস্তান ৫২ (৫২)
জিম্বাবুয়ে ৪৬ (৪৮)

রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৭

গভীর সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম অঞ্চলেই হতে হবে - বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ



গতকাল শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের কার শেডে আয়োজিত ‘পোর্ট এক্সপো’–এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ১৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো দুদিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
কক্সবাজার চট্টগ্রাম বিভাগের একটি জেলা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন এবং নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানও সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হবে বলে ঘোষণা দেন। প্রায় দুই বছর ধরে সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের প্রকল্পের কার্যত অগ্রগতি না থাকলে চট্টগ্রামে এসে গত দুদিনে তিন মন্ত্রী এই ঘোষণা দিলেন।
বন্দরের দক্ষতা বাড়াতে হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বন্দর একাই দক্ষতা বাড়াতে পারবে না। বন্দরের দক্ষতা বাড়ল কিন্তু এনবিআর নানা আইনকানুন দেখিয়ে বিলম্ব করল, তাতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে। বন্দরের কার্যক্রম যাতে ২৪ ঘণ্টা সচল থাকে, সে জন্য এনবিআরকে সহযোগিতা করতে হবে।
বর্তমানে বন্দরের কনটেইনার ও পণ্য ওঠানো-নামানোর কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। বন্দরের পণ্য খালাসের ছাড়পত্র নিতে হয় কাস্টমস থেকে। কাস্টমসের আমদানি কার্যক্রম সপ্তাহে পাঁচ দিন এবং রপ্তানি কার্যক্রম সপ্তাহে সাত দিন সচল থাকে। ফলে ব্যবসায়ীরা চাইলেই যখন-তখন পণ্য খালাস নেওয়ার সুযোগ পান না।
অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাংসদ এম এ লতিফ ও নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল বক্তব্য দেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এ জন্য বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
সাংসদ এম এ লতিফ বলেন, কাস্টমস বিভাগে লোকবলের সংকটের কারণে বন্দরের গতিশীলতা বাড়ছে না। এটি দ্রুত নিরসন করা দরকার।
আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। কাস্টমসও ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকলে বন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুণ বাড়বে। ব্যবসা-বাণিজ্যও গতিশীল হবে।
অনুষ্ঠানে সেরা স্টলগুলোকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। দুদিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে ১২৮টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। শেষ দিন গতকাল মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল।

পোপ ফ্রান্সিস গতকাল শনিবার মিসরে

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস গতকাল শনিবার মিসরে হাজারো মানুষের প্রার্থনা সভায় অংশ নেন। একের পর এক জঙ্গি হামলায় উদ্বিগ্ন সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানদের প্রতি সমর্থন জানাতে এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনার জন্য তিনি কায়রো সফরে গেছেন। 
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) গত ডিসেম্বরে এবং চলতি মাসে মিসরের কপটিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কয়েকটি গির্জায় বোমা হামলা করে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে। পোপের সফর উপলক্ষে কায়রোর একটি স্টেডিয়ামে গতকালের প্রার্থনা সমাবেশে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ অংশ নেয়। মিসরে ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষ রয়েছে।