বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ছাত্রছাত্রীদেরকে পুলিশের লাঠিপেটা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে

students_beaten_at_burdwan_univImage copyrightBBC Bangla
Image captionছাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছে পুলিশ (ছবি: প্রসেনজিৎ হোম চৌধুরী)
পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এক ছাত্র বিক্ষোভের ওপরে পুলিশ আজ মঙ্গলবার ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে।
বামপন্থী সিপিআইএম দলের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সমর্থক ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার ফল প্রকাশের ইস্যুতে সেখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার বলছেন, “গতকালও ছাত্রদের একটি মিছিলের সময়ে কর্মচারী ও শিক্ষকদের শারীরিক হামলা চালানো হয়। আজ বিক্ষোভরত ছাত্র প্রতিনিধিদের কাছ থেকে স্মারকলিপি নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ তৈরী ছিলেন।’’
“তারা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও হামলা না চালাতে পারে, তারজন্য প্রশাসনিক ভবনের গেট বন্ধ রাখা হয়েছিল। এসএফআইয়ে সমর্থকরা শাবল, পাথর, বাঁশ নিয়ে এসেছিল। সম্পত্তি নষ্ট আর কর্মীদের ওপরে হামলা রুখতেই পুলিশ ডাকতে হয়’’, জানান উপাচার্য মি সরকার।
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতেও দেখা গেছে যে ছাত্রছাত্রীরা পাথর, শাবল দিয়ে লোহার গেটের তালা ভাঙার চেষ্টা করছেন। তাঁদের ভঙ্গি স্পষ্টতই ছিল মারমুখী।
এসএফআই-য়ের স্থানীয় নেতৃত্ব বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগের কোনও যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না।
টিভি চ্যানেলগুলিতে সম্প্রচারিত ছবিতে এ-ও দেখা যাচ্ছে যে পুলিশ লাঠি বা এসএফআইয়ের পতাকা লাগানো লাঠি নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া করছে, লাঠিপেটা করছে। লাঠি পড়ছে ছাত্রীদের ওপরেও।
তবে পুলিশ আধিকারিকেরা বলছেন যে বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে কোনও লাঠিচার্জ হয়নি। শুধু ছাত্র বিক্ষোভকারীদের দিকে লাঠি নিয়ে তেড়ে যাওয়া হয়েছিল, তাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য। কেউ আহতও হননি ওই ঘটনায়।।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে পুলিশ এমন একটা সময়ে লাঠি চালালো, যখন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র ইউনিয়ন প্রেসিডেন্টকে দেশদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা নিয়ে ভারতের রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছে।
এছাড়াও কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মিছিলে কথিত দেশবিরোধী স্লোগান ওঠার পরেও উপাচার্য পুলিশ ডাকতে বা অভিযোগ জানাতে অস্বীকার করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন