সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৬

‘বাংলাদেশের মানুষ এখন আর খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে না’

 

Image captionবাংলাদেশে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে এখন আর বনে বাদাড়ে দৌড়াতে হয়না।
বাংলাদেশের সরকার বলছে খোলা জায়গায় মলত্যাগ মুক্ত দেশ হিসেবে লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ প্রায় দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য রোল মডেল বলে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
অন্যদিকে পাশের দেশ ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষই খোলা জায়গায় মলত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
বাড়ি বাড়ি শৌচাগার নির্মাণে বাংলাদেশ গত এক দশকে ব্যাপক ভাবে উন্নতি করেছে আর তাতে মানুষজনের খোলা জায়গায় মলত্যাগের অভ্যাসও কমেছে বলে জানিয়েছেন এ সম্পর্কে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খাইরুল ইসলাম।
১০ বছর আগে বাংলাদেশের ৩৪ শতাংশ মানুষ টয়লেটে যাওয়ার সুবিধার আওতায় ছিলো।
আর এখন ৯৯ শতাংশ মানুষই এই সুবিধার আওতায় রয়েছেন।
অর্থাৎ এখন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত কোন গ্রামে গিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে আর বনে বাদাড়ে দৌড়াতে হয়না।
একজন সাধারণ মানুষের বাড়িতেও একটি স্লাব বসানো টয়লেট পাওয়া যাবে বলে দাবি করছে সরকার।
আজই ঢাকায় এসব তথ্য দেয়া হয়েছে স্যানিটেশন বিষয়ক দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলনে।
সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার নানা দেশের ৪০০ মতো ডেলিগেশন অংশ নিয়েছেন।
তবে ইদানীং বলা হচ্ছে প্রতিটি বাড়িতে স্লাব বসানো টয়লেট থাকা মানেই আধুনিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা নয়।
ত্যাগকরা মল মূত্র কোথায় নিষ্কাসন হচ্ছে সেটিও এর অংশ।
এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কতটা এগিয়েছে তা অবশ্য প্রশ্নের সম্মুখীন।
বাংলাদেশে টয়লেটের বর্জ্য এখনো খুব অস্বাস্থ্যকরভাবে প্রকৃতিতে মিশে যাচ্ছে।
শহরাঞ্চলে খোলা ড্রেন ও ম্যানহোলের দুর্গন্ধের হাত থেকে বাচতে নাকে কাপড় চেপে মানুষজনের হাটার দৃশ্য নিয়মিতই দেখা যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন