সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামরিক সাহায্য এবং সমর্থন যোগানোর এক প্রস্তাব জার্মান পার্লামেন্টে বিপুল ভোটে পাশ হয়েছে।
জার্মানি এই কাজে টর্নেডো জঙ্গি বিমান, একটি যুদ্ধ জাহাজ এবং বারোশো সৈন্য পাঠাবে। তবে জার্মান সৈন্যরা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেবে না।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, জার্মানি মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধে জড়াতে খুব আগ্রহী ছিল না, কিন্তু প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর জার্মানি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হবে বলে অঙ্গীকার করে।
এর মধ্য দিয়ে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যে সামরিক অভিযান চলছে, তাতে সবশেষ যোগ দিলো জার্মানি।
গত মাসে প্যারিসে হামলার পর ফরাসী সরকারের পক্ষ থেকে এই অনুরোধ করা হয়েছিলো।
জার্মান সংসদে এই অভিযানের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৪৫। আর বিপক্ষে ১৪৬।
বর্তমানে দেশের বাইরে এটাই জার্মানির সবচে বড়ো সামরিক অভিযান।
জার্মান সেনাবাহিনী বলছে, সিরিয়ার যেখানেই আই এস তৎপর জার্মান সৈন্যদের সেখানেই মোতায়েন করা হবে।
জার্মানির বামপন্থী বিরোধী দল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরো একটি দল গ্রিন পার্টি বেশিরভাগ এমপিরাও এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। এই দলের প্রধান জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়া এধরনের অভিযান কতোটা বৈধ সেবিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
কিন্তু সরকারের আইনমন্ত্রী বলেছেন, এর বৈধতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এর আগে দেশের বাইরে জার্মানির সবচে বড়ো সামরিক অভিযান ছিলো আফগানিস্তানে।
সিরিয়ায় ব্রিটেনের বিমান হামলা শুরু হওয়ার একদিন পরেই জার্মান সংসদেও এই অনুমোদন দেওয়া হলও।bbc
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন