মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

রাহুল গান্ধীকে 'মন্দিরে ঢুকতে দেয় নি' আরএসএস

 
                     রাহুল গান্ধী 
               
ভারতের কংগ্রেস পার্টির নেতা রাহুল গান্ধী আজ অভিযোগ করেছেন যে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের লোকেরা তাকে আসাম রাজ্যের একটি মন্দিরে ঢুকতে দেয় নি।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এবং কংগ্রেসের বর্তমান নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর পুত্র রাহুল গত সপ্তাহে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম সফরে যান। ওই রাজ্যে কংগ্রেস পার্টিই ক্ষমতায়।
আজ সকালে দিল্লিতে পার্লামেন্টের বাইরে উত্তেজিত ভঙ্গীতে মি গান্ধী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে মন্দিরে ঢুকতে না-দেওয়ার ওরা কে? কিন্তু বিজেপির চিন্তাভাবনার ধরনধারন যে এরকমই!’
কংগ্রেস সূত্রগুলো বলছে, গত সপ্তাহে আসামে রাহুল গান্ধী যখন একটি পদযাত্রায় গিয়েছিলেন, তখন বরপেটা সত্র মন্দিরের সামনে এই ঘটনাটি ঘটে।
কংগ্রেসের পরিকল্পনা ছিল ওই মন্দিরে পূজা দিয়ে রাহুল গান্ধী পদযাত্রার সূচনা করবেন। কিন্তু দলীয় সূত্রে বলা হচ্ছে, মন্দিরের সামনে মহিলাদের দিয়ে ‘বর্ম’ তৈরি করে তাকে সেখানে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি।
কিন্তু কেন তাকে মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হবে, তার কারণটা এখনও স্পষ্ট নয়।
sonia and rahul                 মা সোনিয়ার সাথে রাহুল গান্ধী                
কংগ্রেস নেতারা কেউ কেউ বলছেন, ওই পবিত্র মন্দিরকে উপেক্ষা করে রাহুল বরপেটা সত্রকে অপমান করছেন – এ ধরনের রাজনৈতিক প্রচার চালাতেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে ঢুকতে বাধা দিয়েছে।
কেউ কেউ আবার মনে করছেন, রাহুল গান্ধীর মা সোনিয়া গান্ধী নিজে একজন রোমান ক্যাথলিক – এবং রাহুল নিজে পুরোপুরি হিন্দু কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে বলেই তাকে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
ভারতের সিনিয়র ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা ভেঙ্কাইয়া নাইডু অবশ্য রাহুল গান্ধীর অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়ে বলেছেন, ‘আরএসএস কি মন্দির চালায় না কি? আজগুবি অভিযোগ করাটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে!’
ভারতের যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ – সেখানে কিন্তু রাহুল গান্ধীর দল কংগ্রেসই ক্ষমতায় আছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বও তাদের হাতেই।
তা সত্ত্বেও রাহুল গান্ধী কীভাবে মন্দিরে ঢুকতে বাধা পেলেন? রাজ্য পুলিশ তাকে কেন তখন সাহায্য করল না?
এর জবাবে আসামের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে ও কংগ্রেস এমপি গৌরব গগৈ বলছেন, ‘রাহুল গান্ধীর পদযাত্রার সময় সেখানে হাজার হাজার লোক ছিলেন। রাজ্য সরকার বা প্রশাসন চায়নি সে সময় সেখানে কোনও গন্ডগোল বা বিশৃঙ্খলা হোক।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন