বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে যে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল - তার স্মারক দিন 'শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস' পালিত হচ্ছে আজ।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই দিনটি একটি গভীর শোকের দিন হিসেবে চিহ্নিত, যা প্রতিবছরই বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে পালিত হয়।রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সকালে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সহযোগী আলবদর-আলশামস নামের মিলিশিয়া বাহিনীর লোকেরা ঢাকা এবং দেশের অন্যত্র বাঙালি অধ্যাপক, শিল্পী, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, ও সাংবাদিকদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে।
তবে চিহ্নিতভাবে এই বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড চলেছে দীর্ঘ সময় ধরে।
বাংলাপিডিয়ার হিসেবে, পুরো ১৯৭১ সালজুড়ে এক হাজারেরও বেশি বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়।
পরে মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে তাদের অনেকের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
অনেককে আর কখনোই খুঁজে পাওয়া যায় নি।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকাসহ অন্যান্য অপরাধের দায়ে এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
এছাড়া, ঐ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৩ সালে চৌধুরী মুঈনুদ্দীন এবং আশরাফুজ্জামান খানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
তবে, তারা পলাতক রয়েছেন বলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ সম্পন্ন হয়।
চৌধুরী মুঈনুদ্দীন গত কয়েক দশক ধরেই ব্রিটেনে এবং আশরাফুজ্জামান খান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন