ইতালীয় নাগরিককে হত্যার জন্য বিএনপি'র যে নেতাকে সরকার সন্দেহ করছে সেই আব্দুল কাইয়ুম অজ্ঞাত স্থান থেকে বিবিসির ঢাকা অফিসে ফোন করে বলেছেন সরকার তাকে এবং বিএনপিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়াতে চাইছে।
বিদেশী নাগরিক হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান তা প্রত্যাখ্যান করেছেন এই বিএনপি নেতা ও সাবেক কমিশনার আব্দুল কাইয়ুম।অজ্ঞাত স্থান থেকে নিজে থেকে ফোন করে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন , “এ ঘটনার আমি কিছুই জানিনা। রাজনৈতিক ভাবে আমাকে বলির পাঁঠা বানানোর পাঁয়তারা চলছে।”
বিবিসি বাংলার রাকিব হাসনাত যিনি তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তাকে মিঃ কাইয়ুম বলেন, “আমার ছোট ভাইকে গত ১৯ তারিখে নিয়ে গেছে। এলাকার আরও কয়েকজনকে নিয়ে গেছে। বিভিন্ন ভাবে শুনছিলাম যে আমাকে জড়াবে। আমার ভাই-এর দোষ নেই। আমিও বাইরে, বিভিন্ন মামলা আছে।”
মিস্টার কাইয়ুম বলেন এমন নয় যে যাদের ধরা হয়েছে তারাও কোন জবানবন্দী দিয়েছে।
“তারা বড় ভাইয়ের কথা বলছে এবং বলছে তদন্ত চলছে। আর এর মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে দিলেন আমার নাম। আমার সন্দেহ যাদের ধরা হয়েছে তাদের দিয়ে আমার নাম বলানো হবে।”
চেজারে তাভেলা হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন এটা মূলত তাকে ‘‘বলির পাঁঠা” বানানো ও বিএনপিকে জড়িত করার জন্যেই করা হচ্ছে।
বিএনপিকে জড়াতে হলে দলটির অন্য নেতাদের বাদ দিয়ে সরকার তাকে কেন টার্গেট করবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যেহেতু আমি গুলশান এলাকার রাজনীতির সাথে জড়িত। হয়তো এটা বিশ্বাসযোগ্য করাতে আমাকে জড়ানো হয়েছে। আমি তো দেশের বাইরে অসুস্থ।”
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে তিনি ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে আওয়ামী লীগের নেতারা যে অভিযোগ করছেন তাও প্রত্যাখ্যান করেছেন আব্দুল কাইয়ুম।
লন্ডনে গিয়েছেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন তিনি সেখানে যাননি।
বিদেশী নাগরিক হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষিতে দেশে ফিরে বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবেলা করবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আইনগত মোকাবেলার তো বিকল্প নেই। কিন্তু আমার ভাই কোথায় আছে জানিনা। সবই তো নীলনকশা। আমার জীবনের কতটুকু নিরাপত্তা আছে বুঝতে পারছিনা। কেন-ই বা আমাকে জড়ালো তাও বুঝতে পারছিনা।” বিবিসি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন