সোমবার, ১ মে, ২০১৭

পয়েন্ট কমেও সরাসরি বিশ্বকাপের স্বপ্ন উজ্জ্বল বাংলাদেশের

আইসিসির সংশোধিত ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিং আজ প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে দলগুলোর পারফরম্যান্সে ওপর ভিত্তি করে সাজানো এই র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। সাতেই আছে বাংলাদেশ। তবে ২০১৪ সালের মাঝপথের একের পর এক সিরিজ হারের প্রভাবটাও পড়েছে রেটিং পয়েন্টে। গত সপ্তাহেও বাংলাদেশের রেটিং ছিল ৯২ পয়েন্ট, সেটা আজ ১ পয়েন্ট কমেছে।
পুনর্বিন্যস্ত র‌্যাঙ্কিং তবু বাংলাদেশের আশা বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ, প
য়েন্টের এমন ওলট-পালটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিচের দিকে থাকা সব দল। আটে থাকা পাকিস্তানের (৮৮) পয়েন্টও ২ কমছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, নয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ পয়েন্ট হারিয়েছে। ক্যারিবীয়দের পয়েন্ট এখন ৭৯। বাংলাদেশ তাদের চেয়ে এগিয়ে আছে ১২ পয়েন্টে। এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যবধান কমিয়ে আনার সম্ভাবনা তেমন নেই বললেই চলে।
এ কারণে আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ কিংবা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অবিশ্বাস্য কোনো ভরাডুবি না হলে ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ প্রায় নিশ্চিত বাংলাদেশের। কারণ, ৩০ সেপ্টেম্বরের কাট অফ সময়ের আগে প্রথম আট দলই যে সে সুযোগটা পাবে।
সে তুলনায় আরেকটি অর্জনেরও একটা সুযোগ আছে বাংলাদেশের। ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে দুই ম্যাচে হারালে এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচ জিতলেই র‌্যাঙ্কিংয়ে ছয়ে উঠে আসবে বাংলাদেশ। কারণ, সংশোধিত র‍্যাঙ্কিংয়ে ছয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে ৫ রেটিং পয়েন্ট। লঙ্কানরা এখন ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের হাতের নাগালে।
প্রতি বছর এই সময়ে র‍্যাঙ্কিং সংশোধন করে আইসিসি। তাতে আগের তিন বছরের খেলার পয়েন্টগুলোই শুধু যুক্ত হয়, এর আগের পয়েন্টগুলো বাদ দেওয়া হয়। গত এক বছরের (২০১৬-এর মে থেকে) ম্যাচগুলোর অর্জিত পয়েন্টের শতভাগ নেওয়া হয়। এর আগের দুই বছরের (২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের এপ্রিল) ম্যাচগুলোর পয়েন্ট নেওয়া হয় অর্ধেক। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ অবিস্মরণীয় সাফল্য পেয়েছিল ওয়ানডেতে। সেই সময়ের পাওয়া পয়েন্ট অর্ধেক যোগ হয়েছে, আগের রেটিংয়ে যোগ হয়েছিল শতভাগ। এ কারণে রেটিং পয়েন্ট কমেছে বাংলাদেশের। আইসিসি।
সংশোধিত ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিং
দল বর্তমান পয়েন্ট (আগের)
দক্ষিণ আফ্রিকা ১২৩ (১১৯)
অস্ট্রেলিয়া ১১৮ (১১৮)
ভারত ১১৭ (১১২)
নিউজিল্যান্ড ১১৫ (১১২)
ইংল্যান্ড ১০৯ (১০৮)
শ্রীলঙ্কা ৯৩ (৯৮)
বাংলাদেশ ৯১ (৯২)
পাকিস্তান ৮৮ (৯০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৯ (৮৩)
আফগানিস্তান ৫২ (৫২)
জিম্বাবুয়ে ৪৬ (৪৮)

রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৭

গভীর সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম অঞ্চলেই হতে হবে - বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ



গতকাল শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের কার শেডে আয়োজিত ‘পোর্ট এক্সপো’–এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ১৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো দুদিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
কক্সবাজার চট্টগ্রাম বিভাগের একটি জেলা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন এবং নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানও সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হবে বলে ঘোষণা দেন। প্রায় দুই বছর ধরে সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের প্রকল্পের কার্যত অগ্রগতি না থাকলে চট্টগ্রামে এসে গত দুদিনে তিন মন্ত্রী এই ঘোষণা দিলেন।
বন্দরের দক্ষতা বাড়াতে হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বন্দর একাই দক্ষতা বাড়াতে পারবে না। বন্দরের দক্ষতা বাড়ল কিন্তু এনবিআর নানা আইনকানুন দেখিয়ে বিলম্ব করল, তাতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে। বন্দরের কার্যক্রম যাতে ২৪ ঘণ্টা সচল থাকে, সে জন্য এনবিআরকে সহযোগিতা করতে হবে।
বর্তমানে বন্দরের কনটেইনার ও পণ্য ওঠানো-নামানোর কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। বন্দরের পণ্য খালাসের ছাড়পত্র নিতে হয় কাস্টমস থেকে। কাস্টমসের আমদানি কার্যক্রম সপ্তাহে পাঁচ দিন এবং রপ্তানি কার্যক্রম সপ্তাহে সাত দিন সচল থাকে। ফলে ব্যবসায়ীরা চাইলেই যখন-তখন পণ্য খালাস নেওয়ার সুযোগ পান না।
অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাংসদ এম এ লতিফ ও নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল বক্তব্য দেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এ জন্য বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
সাংসদ এম এ লতিফ বলেন, কাস্টমস বিভাগে লোকবলের সংকটের কারণে বন্দরের গতিশীলতা বাড়ছে না। এটি দ্রুত নিরসন করা দরকার।
আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। কাস্টমসও ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকলে বন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুণ বাড়বে। ব্যবসা-বাণিজ্যও গতিশীল হবে।
অনুষ্ঠানে সেরা স্টলগুলোকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। দুদিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে ১২৮টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। শেষ দিন গতকাল মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল।

পোপ ফ্রান্সিস গতকাল শনিবার মিসরে

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস গতকাল শনিবার মিসরে হাজারো মানুষের প্রার্থনা সভায় অংশ নেন। একের পর এক জঙ্গি হামলায় উদ্বিগ্ন সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানদের প্রতি সমর্থন জানাতে এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনার জন্য তিনি কায়রো সফরে গেছেন। 
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) গত ডিসেম্বরে এবং চলতি মাসে মিসরের কপটিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কয়েকটি গির্জায় বোমা হামলা করে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে। পোপের সফর উপলক্ষে কায়রোর একটি স্টেডিয়ামে গতকালের প্রার্থনা সমাবেশে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ অংশ নেয়। মিসরে ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৬

Guinness World Records has space 201 domed mosque in Tangail


Tangail 201 Domed mosque 





Tangail, April 09 mosques in the world in the history of architecture of the past, all the records will be broken by the district's historic 01-domed mosque. The mosque is located on 15 acres of land eighty per cent of the construction work has been completed, the mosque will begin soon carvings. Nearly 15 thousand worshipers can pray together in the mosque. A separate building next to the mosque to be built. There will be free for destitute women in the building hospitals, orphanages, old, rehabilitate distressed freedom fighters and their families. The mosque will be built near to the devotees coming from far flung places in bungalows and free food distribution system. Mosque construction cost of about a hundred million. The construction of the mosque will be upwards of 451 feet high dome and a minaret. Which is expected to take place in the Guinness World Records book. Freedom fighter Rafiqul Islam udyage Welfare Trust is built. Gopalpur upazila of Tangail district, 01 villages in southern Pathalia domes are being built. Located next to the 451-foot-tall, 56-storey high or "freedom fighter, Rafiqul Islam," the world's tallest brick minaret to minaret. The Minar is the elevator up 50 floors of the facility. Qutub Minar in Delhi, India is currently the world's tallest brick minaret. 40 feet in height, and the world's tallest minaret, Morocco Hassan II Mosque is located kasablankaya. Height of 689 feet. However, it is not made of brick. 01-domed mosque construction started in January 013. This work laid the foundation of freedom, the founder of Islam Welfare Trust chairman Rizia Khatun's mother. He is expected in early 2017 the presence of the Holy Kaaba Sharif and Imam Imam, the mosque will be officially inaugurated.

শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬

এগিয়ে আসছে রোয়ানু, চট্টগ্রামে বিপদ সংকেত

Image copyrightBANGLADESH METEOROLOGICAL DEPARTMENT
Image captionঘূর্ণিঝড়টি আরো শক্তিশালী হয়ে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে খানিকটা এগিয়ে এসেছে
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু আরো শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে খানিকটা এগিয়ে আসায় চট্টগ্রাম ও আশেপাশের জেলাগুলোয় সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মংলায় পাঁচ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
আগামীকাল বিকাল নাগাদ ঝড়টি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরো শক্তিশালী হয়ে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে আসছে। ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার।
শুক্রবার দুপুর থেকেই উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হতে শুরু করে। অনেক স্থানে সেই সঙ্গে ছিল ঝড়ো বাতাস।
সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর উপকূলীয় জেলাগুলোয় ঝড় মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, উপকূলীয় জেলাগুলোয় নয়শয়ের বেশি সাইক্লোন সেন্টারে মানুষজনকে সরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেসবাহউদ্দিন বলছেন, ''ঝড়টি মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসাবে আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছি। উপকূলীয় এলাকাগুলোয় সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা নিজেরা মাঠে মাঠে ঘুরে সবাইকে সাইক্লোন সেন্টারে যাওয়ার বিষয়াদি তদারকি করছেন। পর্যাপ্ত ত্রাণও মজুদ করা হয়েছে।''
বেসরকারি সংস্থাগুলো এবং স্বেচ্ছাসেবীদেরও এ কাজে সহায়তা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
একই ধরণের প্রস্তুতির খবর পাওয়া গেছে কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী সহ অন্য উপকূলীয় জেলাগুলো থেকেও।
Image copyrightBANGLADESH METEOROLOGICAL DEPARTMENT
Image captionঝড়টি যেভাবে এগিয়ে আসছে, তাতে শনিবার বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে
বিকাল থেকেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে নৌচলাচল কর্তৃপক্ষ। ঝড়টি এখনো বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এবং এদিকেই এগিয়ে আসছে।
ঝড়ের প্রভাবে এর মধ্যেই শ্রীলংকা এবং ভারতের ওড়িশাসহ পূর্ব উপকূলে ঝড়ো বৃষ্টি হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশের ভোলার প্রত্যন্ত একটি উপকূলীয় থানা, লালমোহনের একজন বাসিন্দা মোঃ. ইউসুফ বলছেন, ''দুপুর থেকেই ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা খাবার দাবার সংগ্রহ করে নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার প্রস্তুতি নিলেও, এখনো যেতে শুরু করেননি। হয়তো ঝড়ের মাত্রা আরো বাড়লে তারা সেখানে চলে যাবেন।''
কুতুবদিয়া দ্বীপের একজন বাসিন্দা আলাউদ্দিন আল আজাদ জানিয়েছেন, তাদের এলাকার আবহাওয়া অনেকটাই গুমোট হয়ে আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য সতর্ক হয়ে আছেন। ঝড় আরো বাড়লে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।
সাত নম্বর সংকেতের পরই সাধারণত মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়ে থাকে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, আগামীকাল বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ ঝড়টি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঝড়টি কতটা শক্তিশালী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে?
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলছেন, ''সাইক্লোনিক ঝড়ের যে গতি থাকে, এটাও সেরকম গতিতেই আসবে। হয়তো এটা মাঝারি ধরণের ঘূর্ণিঝড় হবে। এটির ঝড়ো আকারের বাতাসের গতিবেগ হবে ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। উপকূলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।''
বাংলাদেশে প্রতিবছর ছোটখাটো মাত্রার ঝড় হলেও, সর্বশেষ বড় আকারের ঘূর্ণিঝড়, সিডরের শিকার হয়েছিল ২০০৭ সালের নভেম্বরে। সেই ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছিল দুহাজারের বেশি মানুষ। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা বলছেন, এবারো ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সবরকম প্রস্তুতিই তারা নিচ্ছেন।

শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৬

তনু হত্যার ঘটনা আড়া​ল করতে নাজিমকে হত্যা : ইমরান

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিমুদ্দিন সামাদের হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত মশাল মিছিলকুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে নাজিমুদ্দিন সামাদকে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সকার। তিনি বলেছেন, তনু হত্যার বিচারের দাবিতে মানুষ যখন সোচ্চার, তখন মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি পক্ষ সুপরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
|আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিমুদ্দিন সামাদের হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত মশাল মিছিলপূর্ব সমাবেশে ইমরান এসব কথা বলেন। সরকারের উদ্দেশে ইমরান বলেন, ‘একের পর এক হত্যাকাণ্ডের দায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, রহিম উদ্দিন-করিম উদ্দিনের নামে দিয়ে যাবেন, আর আমরা আপনাদের পড়ানো স্ক্রিপ্ট গলাধঃকরণ করব, তা আর হবে না। যারাই এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে থাকুক না কেন বিচার করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘যদি আপনারা মনে করেন, কোনো উগ্রবাদী গোষ্ঠী এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আছে, তাহলে তাদের ধরে আপনাদের প্রমাণ করতে হবে। আপনারা বারবার একই কথা বলে যাবেন আর আমাদের ভাইবোনেরা হত্যার শিকার হবে, আমরা তা মেনে নেব না।’
ইমরান বলেন, এমনকি অদ্ভুত জিনের আছর পড়লে বাংলাদেশে, ‘যে একটার পর একটা ঘটনা ঘটবে। কিন্তু কোনো ঘটনার ক্লু আপনারা খুঁজে পাচ্ছেন না। আপনারা একটা খেলা পেয়েছেন? একটার পর একটা ঘটনা ঘটবে আর আপনারা নানা ধরনের গান হাজির করবেন, সংবাদ সম্মেলন করবেন। একদিন বলবেন আনসারুল্লাহ বাংলা, আরেক দিন বলবেন জেএমবি, আরেক দিন বলবেন এদের কেউ না, অন্য কোনো গোষ্ঠী। এসব বলে জনগণের দৃষ্টি আরেক দিকে সরিয়ে দেবেন। সেটা হবে না।’
মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, নাজিমুদ্দিন সামাদের হত্যাকাণ্ডের পর পরিষ্কারভাবে মনে হচ্ছে, এসব হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এগুলো পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে এমন কোনো শক্তি আছে, যে শক্তি থাকার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চোখে কালো চশমা পরে আছে। তারা কিছুই দেখছে না। একজন প্রতিবাদী তরুণকে হত্যা করার পর বলা হয়- যারা হত্যা করেছে তারা নাকি ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে চলে গেছে। এই কথাটি বলে একটি সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠীর দিকে তাক করা হয়। এই তাক করার ফলে বিচার পাওয়ার যে সম্ভাবনা, তা নষ্ট হয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘যদি আপনারা মনে করেন কোনো সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠী এই হত্যাকাণ্ড করেছে, তাহলে তাদের গ্রেপ্তার করছেন না কেন? কারা এই স্লোগান দিয়েছে আমরা জানতে চাই। আমি পরিষ্কারভাবে মনে করি, এই স্লোগানগুলোর কথা বলে সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠীর দিকে তাক করে পুরো ঘটনাকে আড়াল করার একটা চেষ্টা করা হয়। তাই একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটে যাচ্ছে, আমরা বিচার পাচ্ছি না।’
সমাবেশের পরে চলমান হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল চারটায় শাহবাগে সংহতি সমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশ শেষে সন্ধ্যা ছয়টায় ঘটনার প্রতিবাদে একটি মশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে পুনরায় শাহবাগে এসে শেষ হয়।
Prothomalo.com

তনু হত্যা তদন্তে র‍্যাবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

mizan
Image captionমানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (ফাইল ফটো)
বাংলাদেশের কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় সংঘটিত তনু হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে তিনি তাঁর এই আশংকার কথা জানিয়ে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
কেন এই সন্দেহ -- এই প্রশ্নে বিবিসিকে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে র‍্যাবের "ছায়া তদন্ত" নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
"ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে কোনো কোনো সংস্থা থেকে অতি সতর্কতা দেখেছি। আগে থেকেই কিছু কাজ করা হয়েছে যা তদন্তে বাধা তৈরি করতে পারে।"
এ প্রসঙ্গে মি রহমান তনুর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার জায়গাটি খুঁড়ে ফেলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
"জায়গাটি পরিষ্কার করে রাখা হয়েছে...যেভাবে মাটি উত্তোলন করা হয়েছে তাতে মনে হবে যেন সদ্য একটি খবর খুঁড়ে কাউকে শায়িত করা হয়েছে"।
কোন সংস্থা এটি করে থাকতে পারে-- এই প্রশ্নে মি রহমান বলেন, "আমাদের কাছে বলা হয়েছে র‍্যাব থেকে সম্ভবত এই কাজটি করা হয়েছে"।
পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের প্রসঙ্গ তুলে মিজানুর রহমান বলেন, র‍্যাব প্রকারান্তরে স্বীকার করেছে তারা একটি "ছায়া তদন্ত" করছে।
"এরকম ছায়া তদন্তের কোনো এখতিয়ার বাংলাদেশের আইনে আছে কিনা, কেন এ ধরণের তদন্তের প্রয়োজন হলো .. এসব নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে"।
tonuImage copyrightFacebook
Image captionতনু হত্যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
তনু হত্যার তদন্ত নিয়ে তার উদ্বেগ প্রসঙ্গে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ময়না তদন্তের প্রশ্নও তুলেছেন।
তিনি বলেন প্রথম ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার আগেই কেন আরেকটি ময়না তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়া হলো তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দিয়েছে।
মার্চ মাসে কুমিল্লার কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই বাংলাদেশ জুড়ে এর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। সেনানিবাস এলাকার ভেতরে এই হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করছে।