দুই সপ্তাহ আগে অনুশীলনের সময় কনুই এ ফ্রাকচার হয়েছিল, তা নিয়েই ভারতের গুয়াহাটিতে দক্ষিণ এশিয়া গেমসে খেলতে গিয়েছিলেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত।
রোববার ভারোত্তোলনে মেয়েদের ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণপদক জিতলেন তিনি।
পদক জেতার পর পুরস্কার মঞ্চে দাড়িয়ে আছেন, মাইকে বাজছে জাতীয় সঙ্গীত, পাশে উড়ছে জাতীয় পতাকা।
গলায় পদক পড়ে স্যালুট তুলে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আকুল হয়ে কেঁদে যাচ্ছেন দক্ষিণ এশীয় গেমসে বাংলাদেশের জন্যে প্রথম স্বর্ণপদক এনে দেয়া কিশোরী মেয়েটি।
গত চব্বিশ ঘণ্টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক মিনিটব্যপী এই ভিডিওটি দেখেছেন এবং শেয়ার করেছেন বহু মানুষ।
কেন এমন কান্না?
জানতে চাইলে মাবিয়া আক্তার সীমান্ত বিবিসি বাংলাকে বলেন, কনুই এ ফ্রাকচারের কারণে ডাক্তার বলেছিল আপাতত কিছুদিন খেলা উচিত হবেনা।
‘সেই হাত নিয়ে জিতেছি আমার প্রথম স্বর্ণপদক।
আশাই ছিল না পদক জেতার।
এরপর যখন পুরস্কার মঞ্চে উঠি, মাইকে জাতীয় সঙ্গীত বাজছিল, পাশে জাতীয় পতাকা উড়ছিল।
সবকিছু মিলে কান্না থামাতে পারছিলাম না।’
জাতীয় বক্সিং দলের কোচ মামা শাহাদাত কাজী অনেকটা জোর করে ২০১০ সালে মাবিয়াকে নিয়ে এসেছিলেন ভারোত্তোলনে।
সেসময় এই খেলার ব্যপারে একেবারেই উৎসাহ ছিল না তার, বরং পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে খেলতেন কাবাডি, ক্যারাম, আর ব্যাডমিন্টনসহ অন্যসব খেলা।
তিন ভাইবোনের সংসারে একসময় পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মাবিয়ার।
বাংলাদেশ আনসারে চাকরি করছেন এখন।
এখন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন।
সামনের বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবেন ১৭ বছর বয়সী এই এ্যাথলেট।
স্বপ্ন দেখেন একদিন অলিম্পিকে খেলতে যাবেন।
মাবিয়া বলছিলেন এর আগে ২০১৩ সালে কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন তিনি।
২০১৪ সালে উজবেকিস্তানে আফ্রো-এশিয়া কাপেও রৌপ্য পদক জিতেছিলেন তিনি।
একই বছর থাইল্যান্ডে কিংস কাপে জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন