বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিবিসিকে বলেছেন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার-মানহানির সাথে জড়িত অনেকেই সরকারি দলে রয়েছেন।
তিনি বলেন, মানহানির জন্য বিচারের প্রশ্ন উঠলে তাদেরও বিচার হওয়া দরকার। "যদি মানহানির ঘটনা ঘটেই থাকে শুধু মাহফুজ আনাম কেন?"
২০০৭-০৮ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সেনা গোয়েন্দাদের দেয়া তথ্য ছাপার জন্য আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগ আজ (মঙ্গলবার) ইংরেজি দৈনিক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দুটো মানহানির মামলা করেছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সে সময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর ছেপে তার মানহানি করা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেন, সরকার এই সব মামলার পেছনে নেই এবং সে সময়কার ঘটনা নিয়ে সরকার এখন মাথা ঘামাচ্ছে না।
সেনা গোয়েন্দাদের দেয়া তথ্য যাচাই না করে ছাপা নিয়ে ভুল স্বীকারের জন্য তথ্যমন্ত্রী প্রকারান্তরে মাহফুজ আনামের প্রশংসা করেছেন।
"মাহফুজ আনাম স্বীকারোক্তির মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছেন...আমি মনে করি ভুল স্বীকার করে তিনি সাহসের কাজ করেছেন।"
যে সব সেনা গোয়েন্দা কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমে তথ্য দিতেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা -- এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যান তথ্যমন্ত্রী।
"গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাজের পরিধি খতিয়ে দেখা যেতে পারে, তাদের কর্মপদ্ধতি ঠিক করে দেয়া যেতে পারে।"
বুধবার ডেইলি স্টারের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার এক টিভিতে এক প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ আনাম বলেন, ২০০৭-০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের দেওয়া বিভিন্ন দুর্নীতির খবর যাচাই না করেই তারা ছেপেছিলেন। মি আনাম বলেন, যাচাই না করে এ ধরণের খবর ছাপা তার সাংবাদিকতা জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল কাজ ছিল।
এই স্বীকারোক্তির পর থেকে সরকারি দলের বহু নেতা মাহফুজ আনামের বিচার দাবি করছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন