গত কয়েকদিন ধরে বিশ্বজুড়ে একটি আতঙ্কের নামে পরিণত হয়েছে জিকা ভাইরাস। এর দ্বারা আক্রান্ত হলে তার কোনও চিকিৎসা নেই, প্রতিষেধকও নেই।
গবেষকরা বলছেন, ব্যবহারের উপযোগী একটি প্রতিষেধক তৈরি করে বাজারে ছাড়তে দশ বছর সময় লেগে যেতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের গবেষণাগারে চলছে এই জিকা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির কাজ।
সম্প্রতি মানুষের নজরে আসা এই মশা বাহিত ভাইরাসটি দ্বারা গর্ভবতী মায়েরা আক্রান্ত হলে শিশু বিকৃত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাতে পারে।
গত কয়েক মাস ধরে ক্যারিবিয়ান ও দক্ষিণ আমেরিকার কুড়িটিরও বেশী দেশে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ।
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের একটি হাই সিকিউরিটি গবেষণাগারের গবেষকরা এখন ব্রাজিল থেকে সংগ্রহ করা নমুনার ওপর গবেষণা চালাচ্ছেন।
গবেষক ড. শাহনান রসি বলেছেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যে অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হচ্ছে তাদের। এটা অন্যান্য প্রাণীকে আক্রান্ত করতে পারে কিনা? মানুষের দেহে এটা কতদিন থাকে? ঠিক কোন মশাগুলো জিকার বাহক?
তিনি জানান, এখনও গবেষণার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছেন তারা।
তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগামী বছর নাগাদ পরীক্ষামূলক হলেও, একটি প্রতিষেধক হয়তো উদ্ভাবন করতে পারবেন তারা।
কিন্তু নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এর জন্য একটা অনুমোদন বের করাটা নিশ্চিতভাবেই অনেক সময়সাপেক্ষ হবে।
গবেষকরা বলছেন, কার্যকর একটি প্রতিষেধক তৈরিতে খুব বেশী সময় লাগবে না, কিন্তু দীর্ঘ সময় লেগে যাবে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে এবং বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র পেতে। এজন্য দশ থেকে বারো বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
আর যেসব পোকামাকড় প্রাণঘাতী জীবাণু বহন করে সেগুলো নিয়ে কাজ করাও কম ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের গবেষণাগারে প্রতিষেধক তৈরির জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে পনেরো হাজারের মত মশা সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয়েছে। এগুলোকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন