দক্ষিণ আমেরিকা থেকে যাতে জিকা ভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে না পড়ে তাই এবার সতর্কতা জারি করলো মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
কোনও নারী যদি গর্ভাবস্থায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হন তাহলে ছোট বা বিকৃত মস্তিষ্ক নিয়ে শিশুর জন্ম হতে পারে।
জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আছে এমন সব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা গর্ভবতী নারীদের বিশেষ পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে।
ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের খবর প্রকাশের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ সাবধানবাণীর পর যুক্তরাষ্ট্রও এখন বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ার ঘোষণা দিলো।
যেসব শিশুদের দেখে সন্দেহ হবে যে তারা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত তাদের কিভাবে পরীক্ষা করা হবে, পাশাপাশি গর্ভবতী নারীদেরও কিভাবে পরীক্ষা করা হবে সে বিষয়েও বিভিন্ন নিয়মাবলী দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের।
গর্ভবতী নারীরা মশাবাহিত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা বা তারা বিদেশ থেকে এ রোগ নিয়ে এসেছে কিনা সে বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আমেরিকার ডাক্তারদের গর্ভবতী নারীদের ভ্রমণের বৃত্তান্ত জেনে সেটা নিয়ে গবেষণা করতে বলা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ক্যারিবিয়ান এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার ২১ টি দেশে এ ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, সেসব এলাকার নারীদের রক্ত পরীক্ষা করে দেখতে বলা বলা হচ্ছে।
এদিকে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ২ লাখ ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে ব্রাজিল সরকার।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো স্টেডিয়াম মশামুক্ত করার জন্য পুরো স্টেডিয়ামে মশা নিধনের ধোঁয়া দেয়া হয়েছে।
ব্রাজিলের পরিবেশ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা মার্কাস ভিনিশাস ফেরেইরা বলছেন জিকা ভাইরাসের হুমকি মোকাবেলায় সকল চেষ্টাই চলছে।
তিনি এখানে বলেছেন, জিকা ভাইরাসের যে ঝুঁকির কথা বলা হচ্ছে তার অতীতের তুলনায় বড় কিছু নয়। চার বছর আগে সংক্রমণের হার ২.৯ শতাংশে এ বছর সেটি এক শতাংশে এসেছে বলে তিনি জানান।
সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করে যে পুরো আমেরিকাজুড়ে মশাবাহিত জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এরপরই যুক্তরাষ্ট্র এখন বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ার ঘোষণা দিলো।
গর্ভাবস্থায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বিকৃত মাথা নিয়ে জন্ম নিতে পারে শিশু।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন