পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফের জন্মদিনে হঠাৎ লাহোরে নেমে সবাইকে চমকে দিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে এভাবে হঠাৎ পাকিস্তানে যাবেন, এটা নাকি তার ঘনিষ্ঠজনদেরও অজানা ছিল।কাবুল থেকে ফেরার সময় তার লাহোরে নামার এই কর্মসূচী তিনি প্রথম ঘোষণা করেন টুইটারে।
লাহোর বিমান বন্দরে তাকে উষ্ণ সম্বর্ধনাই জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফ সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান।
এরপর দুজনের মধ্যে দুই ঘন্টার এক বৈঠক হয়েছে। তবে দুজনের মধ্যে কি আলাপ হয়েছে তার বিস্তারিত কোন পক্ষই প্রকাশ করেনি।
ভারত আর পাকিস্তান সম্প্রতি তাদের সম্পর্ক উষ্ণ করার যে চেষ্টা চালাচ্ছে, এই সফরকে বলা যেতে পারে সেই লক্ষ্যে এযাবতকালের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ।
গত বছর ক্ষমতায় আসার পর মিস্টার মোদি এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত করেছেন।
কিন্তু পাকিস্তানের মাটিতে এটাই তার প্রথম সফর। কিন্তু মুম্বাইতে সন্ত্রাসী হামলার পর দুদেশের মধ্যে সন্দেহ আর অবিশ্বাস যেরকম চরমে পৌঁছেছিল, সেখানে পারস্পরিক আস্থা ফিরিয়ে আনা সহজ হবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
দুদেশের মধ্যে এই অবিশ্বাস আর সন্দেহের পেছনে আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান ভারতীয় প্রভাবও একটা কারণ।
মিস্টার মোদি মাত্রই কাবুলে ভারতীয় সহায়তায় তৈরি এক নতুন পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধন করে ফিরছেন। আফগানিস্তানে আরও বহু অবকাঠামো প্রকল্পে বিপুল সহায়তা দিচ্ছে ভারত।
পাকিস্তান এ বিষয়টা মোটেই সুনজরে দেখছে না। আফগান সরকারের মতো ভারতেরও সন্দেহ, সেখানে তালেবান বিদ্রোহের অন্যতম মদতদাতা হচ্ছে পাকিস্তান।
ভারত মনে করে, আফগানিস্তানে তাদের যে প্রভাব, সেটা খর্ব করতেই তালেবানকে মদত দিচ্ছে পাকিস্তান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ অবস্থায় নরেন্দ্র মোদির এই প্রতীকী সফর হয়তো সম্পর্কের বরফ গলাতে সহায়ক হবে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এর চেয়ে অনেক বেশি জরুরী হচ্ছে পারস্পরিক সন্দেহ অবিশ্বাসে দূর করার লক্ষ্যে কিছু বাস্তব পদক্ষেপ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন