মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫

সীমান্তে হত্যা বন্ধে বিজিবি প্রধানের পরামর্শ

 

    মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ, মহাপরিচালক, বিজিবি
মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ, মহাপরিচালক, বিজিবি
ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হলে রাতের বেলা বাংলাদেশীদের সীমান্ত অতিক্রম বন্ধ করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ বা বিজিবি`র প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
তিনি বলেছেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে হলে বাংলাদেশী গরু চোরাকারবারীদের তৎপরতাও বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর গুলিতে গত পাঁচ বছরের মধ্যে এ বছরই সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় বাংলাদেশী সীমান্ত এলাকায় নিহত হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, চলতি বছরে এ পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ৪৫ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৩৩ জন।
সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ভোরে। ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একজন বাংলাদেশী নিহত হন।
তবে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি'র প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ এই পরিসংখ্যানের সাথে একমত নন।
বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হত্যার বেশিরভাগ ঘটনা ঘটে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় ভূখন্ডে।
তিনি বলেন, চোরাকারবারীরা সব সময় চেষ্টা করে বিজিবি`কে ফাঁকি দিতে। চোরাকারবারীরা গরু আনতে কখনও কখনও সীমান্তের ৩/৪ কিলোমিটার ভেতরে চলে যায় বলে তিনি জানান।
``প্রতিনিয়ত গরু আসে দেশের মধ্যে। আমাদের কথা হচ্ছে গরু আনতে আপনারা যান কেন?`` মি. আহমেদ বলেন, ``ওরা যদি বার্ডারে এসে দিয়ে যায় তো দিয়ে যাবে। আপনারা কেন যাবেন?``
সীমান্তে হত্যার প্রশ্নে তাহলে শুধু বিএসএফকেই দোষারোপ করা চলে কি না, এই ধরনের এক প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন এক্ষেত্রে বাংলাদেশীদেরও দোষ রয়েছে।
কিন্তু আইনভঙ্গ করে সীমান্ত অতিক্রম করলেই হত্যা করতে হবে কেন? এই প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল আাজিজ জানান, ভারতের সাথে আলোচনার সময় তিনি বরাবরই এই কথাটি তুলে আসছেন।
তবে ভারতীয় পক্ষ থেকে কোন জবাব ছিল কি না, সে সম্পর্কে তিনি অবশ্য কোন মন্তব্য করেন নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন