শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫

প্যারিস সন্ত্রাসী হামলার "মূল হোতা" অভিযানে নিহত

 
                                
ফ্রান্সে শুক্রবার সন্ত্রাসী হামলার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী বলে যাকে সন্দেহ করা হচ্ছে সেই আব্দেলহামিদ আবাউদ মারা গেছে।
ফরাসী সরকার জানাচ্ছে গতকাল প্যারিসের স্য দেনি এলাকায় পুলিশ অভিযানে নিহত দুজনের একজন ছিল ঐ ব্যাক্তি।
ওদিকে শুক্রবার আরোপ করা জরুরী অবস্থার মেয়াদ আরো অন্তত তিন মাস বাড়তে চলেছে ফ্রান্সে।
প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস তার এই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সংসদকে অনুরোধ করেছেন।
কারণ হিসাবে, ফরাসী প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ইসলামিক স্টেট ফ্রান্সের ওপর জীবানু বা রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে পারে।
আব্দেলহামিদ আবাউদকে ধরতে পুলিশের অভিযান                
ফরাসি কৌঁসুলি ঘোষণা করেছেন আব্দেলহামিদ আবাউদের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছেন গতকালের পুলিশী অভিযানে সে নিহত হয়েছে।
পুলিশ যে ফ্ল্যাটবাড়িতে হানা দিয়েছিল সেখানে বুলেট আর বোমায় ছিন্নভিন্ন জিনিষপত্রের মধ্যে তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
এদিকে ফরাসি সংসদের নিম্নকক্ষে সংসদ সদস্যেদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ফ্রান্সে জারি করা জরুরি অবস্থা আরো তিন মাস বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মিঃ ভাল্‌স বলেছেন ফ্রান্সের আদর্শ ও মূল্যবোধের কারণেই ফ্রান্স সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে।
মি: ভালস্ বলেছেন ফ্রান্সের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে, মুক্ত আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখতে জরুরি অবস্থা বজায় রাখা দরকার।
তিনি বলেন ফ্রান্সের আইন অনুযায়ী নাগরিকদের রক্ষা করতে ও তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে রাষ্ট্রপ্রধান দেশে অবিলম্বে ব্যতিক্রমী এই পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
স্বাধীনতা রক্ষার জন্য নিরাপত্তা অত্যাবশ্যকীয় উল্লেখ করে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী বলেন সে কারণেই সাময়িকভাবে জনগণের অন্যান্য স্বাধীনতা খর্ব করা প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। জরুরি অবস্থা বহাল রাখা নিয়ে সংসদে বিতর্কের সময়ে প্রধানমন্ত্রী মানুয়েল ভালস্ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে ভবিষ্যতে সন্ত্রাসী হামলায় রাসায়নিক এবং জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকিও রয়েছে।
               
মিঃ ভালস্ ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যাতে বিমানযাত্রীদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য আদানপ্রদানের প্রক্রিয়া চালু করা যায়- এতে সম্মিলিতভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সুযোগ বাড়বে।
ইতিমধ্যে ফরাসি পুলিশকে কর্তব্যে না থাকলেও তাদের অস্ত্র বহন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কর্তব্যে না থাকা অবস্থায় তাদের হাতে আর্মব্যান্ড পরতে হবে যাতে মানুষ তাদের পুলিশ বলে বুঝতে পারে।
জরুরি অবস্থা জরির সময়ই পুলিশের প্রতি এই নির্দেশ জারি করা হয়। প্যারিসে রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত সভাসমাবেশ ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও অবশ্য প্যারিসে যেসব জায়গায় হামলা হয়েছিল সেসব জায়গায় তারা জড়ো হতে পারবে।
এদিকে শুক্রবার প্যারিস হামলার সঙ্গে জড়িতদের খোঁজে বেলজিয়ামে আজ বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছে পুলিশ। ফ্রান্সের স্টেডিয়ামের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী যে নিজেকে বোমায় উড়িয়ে দিয়েছিল তার সর্ম্পকে তথ্য সন্ধানে এসব অভিযান চালানো হয়েছে। bbc

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন