বাংলাদেশে গত ১৮ই নভেম্বর থেকে ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটস্অ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আপীলের রিভিউর রায় সুপ্রিম কোর্ট যেদিন ঘোষণা করেছিল, সেই দিন থেকে বাংলাদেশের মানুষ সহজ পথে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছিলেন না।আজ বিবিসি বাংলার তরফ থেকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কেমন কেটেছে তিন সপ্তাহ ব্যাপী ফেসবুকবিহীন জীবন? জবাবে যেসব পোস্ট এসেছে সেখানে ইউজারদের মধ্যে অনেকেই স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেন।
যেমন, নাসরিন প্রভা মন্তব্য করেন: ভীষন মন খারাপ ছিল। মনে হচ্ছিল সব যোগাযোগ, আন্তরিকতা, সামাজিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। আজ যেন সবার সাথে নতুন করে হবে ভাব বিনিময়। তাই মনে জাগে খুশির জোয়ার।
রাশেদ খান মনির বলছেন, ফেসবুকে লগ-ইন করলে মনে আমার মনে হতো বাংলাদেশে যুদ্ধ চলছে অথবা এই মাত্র যুদ্ধ শেষ হয়েছে। যারা বেঁচে আছে শুধু তারাই ফেসবুক ইউজ করছে।
ফাতেমা ইসলাম রেখা মন্তব্য করেছেন: ফেসবুক ছাড়া মনে হতো আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হয়েছে। প্রতিটা মুহূর্ত একটা বছর মনে হতো।কিন্তু এখন মনে হয়ছে প্রান ভরে নি:শ্বাস নিতে পারছি।
ফুয়াদ পাশা পোস্ট করেছেন: ফেসবুক খুলে দেওয়ায় নিজেকে আর চোর মনে হচ্ছে না। সদ্য জামিন প্রাপ্ত আসামি মনে হচ্ছে।
এইচ এম আনিস আহমেদ বলছেন: প্রেমিকাবিহীন থাকা সম্ভব। কিন্তু ফেইসবুকবিহীন থাকা অসম্ভব। তাই আমি একটা দিনও ফেইসবুকবিহীন ছিলাম না।
ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশের পাশাপাশি ফেসবুক ইউজাররা সরকারের সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেন।
মো. আনোয়ার বলেন: সরকার ফেসবুককে মনে করেছিল এটা বাংলাদেশের একটা প্রতিষ্ঠান। তাদের ভুল ভেঙ্গেছে। গায়ের জোরে সবকিছু হয় না।
ফাহিম রহমান পোস্ট করেন: মাথা ব্যথার কারণে মাথা কেটে ফেলা কোন সমাধান হতে পারে না। মাথা কেন ব্যথা হয় সেটার কারণ বের করতে হবে। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ-এর মত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ রেখে আর যাই হোক ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। প্রযুক্তিকে এড়িয়ে নয়, বরং আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে প্রযুক্তিকে সঙ্গে নিয়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন