মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

বাংলাদেশে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে ব্রিটেনের তাগাদা

                                
বাংলাদেশের বিমান বন্দরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করতে বাংলাদেশ সরকারকে তাগাদা দিয়েছে ব্রিটেন।
মিশরের শার্ম আল শেখ থেকে উড়ে যাওয়া একটি রুশ বিমান সিনাইয়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ব্রিটেনের পরিবহন দপ্তর বাংলাদেশসহ বিশ্বের সবকটি দেশের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে এই তাগাদা দিয়েছে।
বলা হচ্ছে, বিমানের ভেতরে রাখা একটি বোমার বিস্ফোরণে ওই রুশ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়, যাতে ২২৪ জন নিহত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিমান বন্দরগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের একটি দল ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পরিদর্শন করেছেন। এবিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার কথা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও।
এয়ারপোর্টের নিরাপত্তার ব্যাপারে তারা বাংলাদেশকে কিছু সুপারিশও করেছেন।
বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বিবিসিকে বলেছেন, এয়ারপোর্টগুলোতে নিরাপত্তার জন্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কীনা সেটাই তারা খতিয়ে দেখছেন। তারা যাত্রী ও মালবাহী বিমানগুলোর ফ্লাইটের নিরাপত্তার ব্যাপারেও জানতে চেয়েছেন।
তিনি বলেন, বিমানটি যে এয়ারপোর্ট থেকে উড়ে যায় ওই বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সেদেশের।
                 সিনাই এ রুশ বিমান বিধ্বস্ত হেল ২২৪ জন নিহত হয়েছে। বলা হচ্ছে, বিমানের ভেতরে রাখা বোমার বিস্ফোরণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে                
ব্রিটিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বিমানবন্দরে লোকজনের যাওয়া আসা, বিস্ফোরক চিহ্নিত করার ব্যবস্থা ও বিমানে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় নিরাপত্তার প্রক্রিয়ার মতো বিষয়ে তারা পরামর্শ দিয়েছেন।
মি. মেনন বলেন, নিরাপত্তার সব ব্যবস্থাই বাংলাদেশের বিমান বন্দরগুলোতে নেওয়া হয়েছে। তারপরেও সেটা আরো জোরদার করা হয়েছে।
তিনি জানান, যাত্রীদের চেক ইনের সময়েও এই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আগে তাদেরকে বেল্ট, ঘড়ি বা জুতো খুলতে হতো না। কিন্তু এখন সেটা চালু করা হয়েছে।
পরিবহন পরীক্ষা করে দেখার জন্যে স্ক্যানিং যন্ত্রসহ বিস্ফোরকের সন্ধানে মোতায়েন করা হয়েছে ডগ স্কোয়াড।
ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং এর সাথে যারা জড়িত তাদের ব্যাপারে গোয়েন্দা ও পুলিশের ক্লিয়ারেন্সও নেওয়া হচ্ছে।
মি. মেনন বলেছেন, সাধারণ যাত্রীদের জন্যে যতোটা অসুবিধা হয় তারচেয়েও বেশি অসুবিধা হয় মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা ভিভিআইপিদের জন্যে।
দেখা গেছে, তাদেরকে বিদায় ও স্বাগত জানাতে বিমান বন্দরে প্রচুর লোকজন ঢুকে পড়ে। তিনি বলেন, “তাদেরকে অভ্যর্থনা জানাতে অনেক সময় একশো দেড়শো লোকও হাজির হয়।”
ব্রিটেনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার এই তাগাদা দেওয়া হলেও আরো যেসব দেশের এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে যাতায়াত করে সেসব দেশের পক্ষ থেকে ঢাকাকে কিছু বলা হয়নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন