মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৫

'বাইরের আঘাতে' সিনাইতে রুশ বিমান বিধ্স্ত

 
                               
মিশরের সিনাইতে যাত্রীবাহী রুশ বিমানটি শনিবার কেন বিধ্বস্ত হলো, তা নিয়ে নানা জল্পনার পর এখন মুখ খুলেছে খোদ ঐ বিমান কোম্পানি।
মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ কোম্পানি মেট্রোজেটের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, বাইরের কোনো বস্তুর সাথে সংঘর্ষ ছাড়া এই দুর্ঘটনা সম্ভব নয় ।
তবে রুশ সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এই দুর্ঘটনা নিয়ে মনগড়া কিছু তারা ধারণা করতে চান না, কিন্তু কোনো সম্ভাবনাই রাশিয়া নাকচ করছে না।
শনিবার শারম-আল শেখ থেকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবাগগামী বিমানটি বিধ্বস্ত হবার পর থেকে চারটি সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছিল।
কারিগরি ক্রুটি, পাইলটের ত্রুটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত, বা প্লেনের ভেতরে কোন বোমা বিস্ফোরণ এগুলোর যেকোনো একটি ।
তবে রুশ কর্মকর্তারা বলছিলেন যে, ৩১ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে থাকা বিমানটিতে কোন ক্ষেপণাস্ত্র বা গোলার আঘাত লাগার কথা নয়।
পাইলটের কোন সমস্যা হয়েছিল কিনা বা কোন যান্ত্রিক ত্রুটি ঘটেছিল কিনা তাও নিশ্চিত করা যায় নি।
তবে দু’দিনের মাথায় এখন বলা হচ্ছে যে এটা হয়তো নিছক দুর্ঘটনা নয়।
আজ মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন মেট্রোজেট এয়ারলাইনের ডেপুটি পরিচালক আলেক্সন্ডার স্মিরনভ।
তিনি বলছেন, কারিগরি ত্রুটি বা পাইলটের ভুল এসব কিছুই ঘটে নি- বিমানটির বাইরে থেকে কিছু ঘটেছে যার কারণেই বিমানটি ধ্বংস হয়েছে।
মেট্রোজেটের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, বিমানটি কোন জরুরি বার্তা পাঠানোর সময় পায়নি।
                           
ইন্টারফ্যাক্সকে তিনি বলেন, যখন এই বিপর্যয়টি ঘটে তখন ক্রুরা কোন কিছু করার মতো অবস্থায় ছিলেন না। এবং এ জন্যই তারা মাটিতে থাকা কারো সাথেই কোন যোগাযোগ করেন নি।
তবে এটা মনে রাখা দরকার যে বিমানটির ব্ল্যা বক্সের তথ্য এখন বিশ্লেষণ করা হচ্ছে তবে তদন্তকারীরা এখনো কোন সিদ্ধান্ত দেন নি।
অবশ্য রুশ কর্তৃপক্ষ কোন রকম জল্পনার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন।
তিনি বলছেন, তারা কোন সম্ভাবনার কথাই বাতিল করে দিচ্ছেন না, তবে তদন্ত সবেমাত্র শুরু হয়েছে।
২২৪ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত বিমানটির ১৪০জনের মৃতদেহ ইতিমধ্যে সেন্ট পিটার্সবার্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে সব মৃতদেহ এখনো শনাক্ত হয় নি। bbc

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন