দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এযাবৎকালের
সবচেয়ে বড় শরণার্থী-সংকটে পড়েছে ইউরোপ—পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে এমন তথ্য
প্রচারে মনে হচ্ছে ইউরোপের সমস্যাই যেন মূল মাথাব্যথার বিষয়। কিন্তু
বিশ্ববাসীর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা উচিত ভূমধ্যসাগরের অপর পারের আরব দেশগুলো,
বিশেষত সিরিয়া ও ইরাকের বাস্তব পরিস্থিতির দিকে, যেখান থেকে লাখে লাখে
মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি, সহায়সম্বল ছেড়ে প্রাণ হাতে করে পালাতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রশ্ন তোলা উচিত, কেন তাদের ঘর ছাড়তে হচ্ছে? যে পরিস্থিতির কারণে তারা
আপন মাতৃভূমি ত্যাগ করে বিপৎসংকুল পথে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বেরোতে
বাধ্য হচ্ছে, অনেকে প্রাণ হারাচ্ছে, কী করে সৃষ্টি হলো সেই পরিস্থিতি? এই
গুরুতর মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টির জন্য দায়ী কারা?
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর কোনোটা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে, কোনোটা চাপে পড়ে শরণার্থীদের গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। ঘোরতর আপত্তি তুলেছে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশ। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবশ্যই সম্মিলিতভাবে শরণার্থীদের আশ্রয়দানের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। কেননা, এই শরণার্থী-সংকট সৃষ্টির পেছনে ইউরোপের দায় বিরাট। সবচেয়ে বড় দায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। প্রথমে ইরাকে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে এবং পরে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের অস্ত্রসহ সব ধরনের মদদ জোগানোর নেতৃত্ব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থেকেছে তার ইউরোপীয় মিত্রদেশগুলো।
প্রধানত মুসলমান এই শরণার্থীদের ব্যাপারে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলোর দৃশ্যমান অসংবেদনশীলতা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদেরই প্রথমে এগিয়ে আসা উচিত ছিল, কারণ তারা উদ্বাস্তু সিরীয় ও ইরাকিদের নিকটতম প্রতিবেশী, তাদের জায়গা প্রচুর এবং অর্থনৈতিক সামর্থ্যও যথেষ্ট রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের শরণার্থীদের সম্মানের সঙ্গে আশ্রয় দেওয়া ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে। কিন্তু তাতে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না। স্থায়ী সমাধানের জন্য হাত দিতে হবে সমস্যার মূলে: সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের রাজনৈতিক সমাধান ও ইরাকসহ অন্যত্র ইসলামিক স্টেটকে সম্মিলিতভাবে পর্যুদস্ত করার মধ্য দিয়ে আরব বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়নকদের অশান্তির ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর কোনোটা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে, কোনোটা চাপে পড়ে শরণার্থীদের গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। ঘোরতর আপত্তি তুলেছে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশ। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবশ্যই সম্মিলিতভাবে শরণার্থীদের আশ্রয়দানের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। কেননা, এই শরণার্থী-সংকট সৃষ্টির পেছনে ইউরোপের দায় বিরাট। সবচেয়ে বড় দায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। প্রথমে ইরাকে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে এবং পরে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের অস্ত্রসহ সব ধরনের মদদ জোগানোর নেতৃত্ব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থেকেছে তার ইউরোপীয় মিত্রদেশগুলো।
প্রধানত মুসলমান এই শরণার্থীদের ব্যাপারে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলোর দৃশ্যমান অসংবেদনশীলতা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদেরই প্রথমে এগিয়ে আসা উচিত ছিল, কারণ তারা উদ্বাস্তু সিরীয় ও ইরাকিদের নিকটতম প্রতিবেশী, তাদের জায়গা প্রচুর এবং অর্থনৈতিক সামর্থ্যও যথেষ্ট রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের শরণার্থীদের সম্মানের সঙ্গে আশ্রয় দেওয়া ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে। কিন্তু তাতে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না। স্থায়ী সমাধানের জন্য হাত দিতে হবে সমস্যার মূলে: সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের রাজনৈতিক সমাধান ও ইরাকসহ অন্যত্র ইসলামিক স্টেটকে সম্মিলিতভাবে পর্যুদস্ত করার মধ্য দিয়ে আরব বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়নকদের অশান্তির ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন