রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও 'পঞ্চম পরমাণু পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া'



Image copyrightReuters
Image captionরকেট নিক্ষেপ প্রত্যক্ষ করছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর সারা বিশ্বজুড়ে তার সমালোচনা হচ্ছে।
প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গেন হি এই ‘উস্কানিমূলক’ কাজের জন্যে পিয়ং ইয়ং কর্তৃপক্ষের কঠোর সমালোচনা করেছেন। একইভাবে সমালোচনা করেছে জাপান, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র।
উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এমন এক সময়ে এলো যখন মাস-খানেক আগেই ঐ দেশটি সফল পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা বিভাগ বলছে, পঞ্চমবারের জন্যে পরমাণু পরীক্ষা চালাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
সবশেষ পরীক্ষা
স্থানীয় সময় সকাল ন'টার দিকে উত্তর কোরিয়ার সোহে মহাকাশ কেন্দ্র থেকে রকেটটি ছোঁড়া হয়।
পিয়ং ইয়ং জানিয়েছে, রকেটটি দশ মিনিটের মাথায় কোয়াংমিয়ংসং নামে একটি স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশের কক্ষপথে প্রবেশ করে।
তাদের দাবি, এই রকেট নিক্ষেপ নেহাতই কক্ষপথে পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট পাঠানোর জন্য, এর সাথে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কোনো সম্পর্ক নেই।
কিন্তু উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং তাদের সামরিক মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এই রকেট নিক্ষেপ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

Image copyrightAP
Image captionদক্ষিণ কোরিয়ার একটি রেল স্টেশনে লোকজন উত্তর কোরিয়ার চালানো পরীক্ষার খবর দেখছেন

তাদের ভয়, উত্তর কোরিয়ার এই রকেট নিক্ষেপ আসলে সামরিক মহড়া।
তারা বলছে, পিয়ং ইয়ং দেখালো যে তারা এখন পারমানবিক বোমাবাহী দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে সক্ষম, যেটা দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়াও, জাপান এমনকি যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিঞ্জো আবে বলেছেন, বার বার অনুরোধের পরও এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘের প্রস্তাব ভঙ্গ করেছে।
জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে নিরাপত্তা পরিষদ আজ রোববার জরুরী এক বৈঠকে বসছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে হুমকি মোকাবেলায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিক আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Image copyrightReuters
Image captionউত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া রকেট

দক্ষিণ কোরিয়ায় টিএইচএএডি বা থাড নামে মার্কিন এই ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা নিয়ে চীনের প্রবল আপত্তি রয়েছে।
মহাকাশে উত্তর কোরিয়ার রকেট নিক্ষেপ নিয়ে চীন এখনো পর্যন্ত কোনো নেতিবাচক কথা বলেনি।
উত্তর কোরিয়ার এই রকেট নিক্ষেপের ঘটনা গতকাল যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টে মনোনয়ন প্রার্থীদের এক টিভি বিতর্কেও উঠে আসে ।
ডোনাল্ড ট্র্যাম্প বলেন, তিনি বিষয়টি সমাধানে চীনের ভূমিকা দেখতে আগ্রহী।
কিন্তু জেব বুশ বলেন, প্রয়োজনে উত্তর কোরিয়ায় সামরিক অভিযানেও তিনি পিছপা হবেন না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন