মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র প্রসঙ্গে মার্কিন বন্দীদেরকে ইরান থেকে মুক্ত করানোর জন্য তেহরানের সঙ্গে তিনি যে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ার নীতি গ্রহণ করেছিলেন সেটির যথার্থতা নিয়ে এখন আর কোনো প্রশ্ন থাকবে না।
কিন্তু ইরানের উপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উঠার একদিন যেতে না যেতেই দেশটির উপরে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের সাম্প্রতিক ব্যালাস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করার বিষয়টিকে ঘিরে দেশটির উপরে আবারো নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় দেশটির ১১জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অ্যামেরিকান ব্যাংকিং সুবিধা না দেয়ার ঘোষণা এসেছে।
এদিকে জানা যাচ্ছে, ইরানকে ৪শ মিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই ঋণ মূলত ইরানের একটি ফান্ড যেটি মার্কিন সামরিক অস্ত্র কেনার উদ্দেশ্যে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ইরানে বিপ্লব ঘটায় ১৯৮১ সালে সেই অর্থ আটকে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
তবে, ইরানের উপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার এই বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন।
বান কি-মুন বলেছেন, সকল প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে একে অন্যকে সহযোগীতার মাধ্যমে একটি নিরাপদ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবার এটিই এক অনন্য সময়।
ইরানের উপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতায় ব্যস্ত একটি সপ্তাহান্ত কাটানোর পর, গণমাধ্যমের সামনে বারাক ওবামা কথা বলতে গিয়ে জোর গলায় উল্লেখ করেছেন যে, পরমাণু অস্ত্র নির্মাণে ইরানকে কোনো সুযোগই দেয়া হবে না।
ইরানের তরুণদেরকে লক্ষ্য করে মি. ওবামা বলেছেন, এই পরমাণু চুক্তি তাদের জন্য একটি সযোগ এনে দিয়েছে। মি. ওবামা বলেছেন, "পরমাণু বিষয়ক এই চুক্তিটি অনুসরণ করেই তোমরা, ইরানের তরুণ-তরুণীরা সারা পৃথিবীর সাথে নতুন করে সম্পর্ক গড়ার এক সুযোগ পেয়েছো"।
"একটা ভিন্ন ও উন্নত ভবিষ্যত যা আমাদের জনগণ এবং একই সঙ্গে গোটা বিশ্ববাসীর জন্য অগ্রগতির সুযোগ এনে দেয়- সেইরকম নতুন পথ গ্রহণ করার খুব কম সুযোগই আমাদের আসে"।
"ইরানি জনতার সামনে এখন তেমনি এক সুযোগ এসেছে"-তাই এটির সুবিধা নিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন ।
তবে, ইরানের এই পরমানু চুক্তিটিকে সমালোচনা করেছে ইসরায়েল।
এদিকে ভিন্ন আরেক খবরে জানা গেছে, ইরান যে তিনজন অ্যামেরিকানকে মুক্তি দিয়েছে তারা এখন জার্মানিতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন