বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আটক নূর হোসেন তাঁর বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া পিছতে চাইছেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার মি. হোসেনের বিরুদ্ধে তাদের দায়ের করা অনুপ্রবেশের মামলা তুলে নিতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছে।আজ সেই আবেদনের শুনানি ছিল উত্তর চব্বিশ পরগনার মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে।
মি. হোসেনের পক্ষ নিয়ে আজই প্রথম কোনও উকিল হাজির হন।
আইনজীবী অনুপ ঘোষ তার আবেদনে জানান যে তাঁদের বক্তব্যও যেন আদালত শোনেন।
প্রথমে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুনানির দিন দেওয়া হয়। পরে সরকারি উকিল মামলাটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করলে অক্টোবরের গোড়াতেই শুনানির দিন দেওয়া হয়।
অনুপ্রবেশের মামলা তুলে নিতে চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে আবেদন করেছে আজ তা বিবিসির হাতে এসেছে।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী দায়ের করা ওই আবেদনে সরকার জানিয়েছে, ‘মি. হোসেন বাংলাদেশের একজন দাগী অপরাধী। তাঁর নামে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস রয়েছে। বাংলাদেশে গ্রেপ্তার এড়াতেই তিনি ভারতে এসে বেআইনিভাবে লুকিয়ে ছিলেন’।
আবেদনে আরো বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মাধ্যমে মি. হোসেনকে নিজেদের দেশে ফেরত নিতে চেয়েছে। সেজন্যই সরকার অনুপ্রবেশের মামলাটি প্রত্যাহার করে নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চায়’।
এই আবেদনের কপি রাজ্য সরকারের 'গোপন বিভাগে'ও পাঠানো হয়েছে যারা এধরনের অতি স্পর্শকাতর বিষয়গুলির ওপরে নজর রাখে।
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনজীবীদের মধ্যে দ্বিমত তৈরি হয়েছিল যে ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে এদেশে যে অপরাধ করছেন মি. হোসেন তার বিচার এবং শাস্তি হওয়ার পরে তাঁকে ফেরত পাঠানো যাবে, নাকি
বিচার চলাকালীন সরকার মামলা তুলে নিলে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করা যাবে তাঁকে।
সরকারী আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন দে বিবিসিকে জানান, আদালতের পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে বিচারের যে কোনও পর্যায়ে মামলা প্রত্যাহারের সরকারী আর্জি মেনে নেওয়া যেতে পারে।
তবে সরকার কোন প্রেক্ষিতে মামলাটি তুলতে চাইছে বা অভিযুক্তর বিরুদ্ধে সেদেশে কত গুরুতর মামলা রয়েছে সেগুলো অবশ্যই আদালত খতিয়ে দেখবে।
নূর হোসেন আর তাঁর দুই সঙ্গী গত বছর ১৪ই জুন কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে কৈখালী এলাকায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন